Thursday, December 3, 2015

সীরাত বিষয়ক বই পরিচিতিঃ ১

‘সীরাত’ একটি আরবী শব্দ। এ শব্দের বহুবচন হচ্ছে ‘সিয়ার’। এটির মূল শব্দ হচ্ছে ‘সাইরুন’। এর অর্থ চাল-চলন, গতি ইত্যাদি। ‘আল মুজাম আল আজম’ ও ‘মিসবাহুল লুগাত’ নামক বিখ্যাত দু’টি আরবী অভিধানে ‘সীরাত’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে- ১. যাওয়া, প্রস্থান করা, চলা; ২. গতি, পথ, পদ্ধতি, ধারা; ৩. আকার, আকৃতি, মুখাবয়ব; ৪. চেহারা, আকৃতি; ৫. অবস্থা; ৬. কর্ম-নৈপুণ্য, ঢঙ, চাল; ৭. সুন্নাত; ৮. জীবন চলার ধরণ, প্রকৃতি, কাজকর্ম করার ধরণ, জীবন পরিচালনার ঢঙ, ৯. অভ্যাস; ১০. কাহিনী, পূর্ববর্তীদের গল্প বা কাহিনী এবং ঘটনাবলীর বর্ণনা ইত্যাদি। অপরদিকে ইসলামী বিশ্বকোষ ‘সীরাত’-এর অর্থ লিখেছে ১. যাওয়া, যাত্রা করা, চলা; ২. মাযহাব বা তরিকা; ৩. সুন্নাহ; ৪. আকৃতি; ৫. অবস্থা; ৬. কীর্তি; ৭. কাহিনী, প্রাচীনদের জীবন ও ঘটনাবলীর বর্ণনা; ৮. মুহাম্মদ (সা.)-এর গাযওয়ার (যুদ্ধের) বর্ণনা; ৯. অ-মুসলিমগণের সাথে সম্পর্ক, যুদ্ধ এবং শান্তির সময়ে মুহাম্মদ (সা.) যা বৈধ মনে করতেন তার বর্ণনা কিংবা মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন চরিত; সম্প্রসারিত অর্থে বীর পুরুষদের কীর্তির বর্ণনা। পবিত্র কুরআন মজীদে ‘সীরাত’ শব্দটি শুধুমাত্র একবারই ব্যবহৃত হয়েছে। সূরা তাহা’র ঐ আয়াতে বলা হয়েছে ‘খুব হা ওয়ালা তাখাফা’ সান ইদুহা সীরাতাহাল উলা।’ অর্থাৎ তুমি তাকে ধর এবং ভয় পেয়ো না। আমি তাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেব, যেরূপ প্রথমে এটি ছিল’। এখানে ‘সীরাত’ শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মোট কথা ‘সীরাত’ এর আভিধানিক অর্থ হলো কোন ভাল মানুষের বা নেককার মানুষের চাল-চলন, ওঠাবসা, কাজ, মেজাজ-মর্জি। এককথায় জীবন পদ্ধতি বা জীবন চরিত। আর ‘সীরাত’ শব্দের পারিভাষিক অর্থ বোঝান হয়েছে মহানবী (সা.) এর সার্বিক জীবন চরিতকে। রাসূল (সা.)-এর বিখ্যাত জীবনী গ্রন্থগুলোর নামের সাথে এই ‘সীরাত’ শব্দটি সম্পৃক্ত দেখা যায়। যেমন-সীরাতে ইবনে ইসহাক, সীরাতে ইবনে হিশাম, সীরাতে হালবিয়া, সীরাতে রাসূল, সীরাতে মুগল তোয়াই, সীরাতে খাতিমুল আম্বিয়া, সীরাতে সারওয়ারে আলম, সীরাতে মুহাম্মদীয়া, সীরাতে মুবারক মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) সীরাতে মুহসীনে কায়েনাত (সা.), সীরাতুন্নবী, সীরাতে মোস্তফা প্রভৃতি। [বাংলা ভাষায় সীরাত চর্চাঃ নাসির হেলাল] বাংলায় অনূদিত কিছু সীরাতঃ ১. সীরাত ইবনে হিশাম বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সীরাতের নাম "সীরাত ইবনে হিশাম" । রচিয়তা আবু মুহাম্মাদ 'আবদ আল-মালিক বিন হিশাম বা ইবনে হিশাম তিনি ইবনে ইসহাকের সংকলিত সীরাত বা মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনীকে পুনর্সম্পাদনা করেন যা সিরাতে ইবনে হিশাম নামে পরিচিত। ইবনে ইসহাকের সীরাতটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও ইবনে হিশাম ও আল তাবারীর পরিবর্তিত সংষ্করণে এটি এখনো জীবিত আছে । বাংলাদেশে দুটি প্রকাশনী এটি প্রকাশ করেছে । ১. বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ২. ইসলামিক ফাউন্ডেশন আমরা প্রথমেই আলোচনা করবো ইসলামিক সেন্টারেরটা নিয়ে ।
বইঃ সীরাত ইবনে হিশাম মূলঃআবু মুহাম্মাদ 'আবদ আল-মালিক বিন হিশাম বা ইবনে হিশাম অনূবাদকঃ আকরাম ফারুক পৃষ্ঠাঃ ৩৬৪ আইএসবিএনঃ 9843106148 সংস্করনঃ 20th, 2013 মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা মাত্র সূচিপত্র * ভূমিকা * ইতিহাস ও সীরাত * সীরাতগ্রন্থ রচনায় অগ্রণী মুসলিম ঐতিহাসিকগণ * সীরাতে ইবনে ইসহাক * সীরাতে ইবনে হিশাম * সীরাতে ইবনে হিশামের মর্যাদা * সীরাতে ইবনে হিশামের বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপ্ত রূপ * মুহাম্মদ (সা) থেকে আদম (আ) পর্যন্ত ঊর্ধতন বংশ পরম্পরা * ইসমাঈল (আ)- এর অধস্তন পুরুষদের বংশক্রম * রাবিয়া ইবনে নসরের স্বপ্ন * আবু কারব হাসসান ইবনে তুব্বান আস’আদ কর্তৃক * ইয়ামান রাজ্য অধিকার এবং ইয়াসরিব আক্রমণ * হাবশীদের দখলে ইয়ামান * আরিয়াত ও আবরাহা দ্বন্দ্ব * আসহাবুল ফীলের ঘটনা * নিযার ইবনে মা’আদের বংশধর * আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিমের সন্তান-সন্ততি * রাসুলুল্লাহ (সা) পিতামাতা * যমযম কূপ খনন ও সে বিষয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ * আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তাঁর পুত্রকে কুরবানীর মানত * মহানবীর (সা) আমিনার গর্ভে থাকাকালের ঘটনাবলী * রাসূলুল্লাহর (সা) জন্ম * হালীমার কথা * বক্ষ বিদারণের ঘটনা * দাদার অভিভাবকত্বে * পাদ্রী বাহীরার ঘটনা * ফিজারের যুদ্ধ * খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে বিয়ে * ওয়ারাকা বিন নাওফেলের ভাষ্য * পবিত্র কা’বার পুনর্নির্মাণ * আরব গণক, ইহুদী পুরোহিত ও খৃস্টান ধর্মযাজকদের ভবিষ্যদ্বানী * রাসূলুল্লাহর (সা) দৈহিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য * ইনজীলে রাসূলুল্লাহর (সা) বিবরণ * নবুওয়াত লাভ * কুরআন নাযিলের সূচনা * খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদের ইসলাম গ্রহণ * ওহীর বিরতি * প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী * প্রকাশ্য দাওয়াত * কুরআন সম্পর্কে ওয়ালী ইবনে মুগীরার মন্তব্য * রাসূলুল্লাহর (সা) ওপর উৎপীড়নের বিবরণ * হামযার ইসলাম গ্রহণ * রাসূলুল্লাহর (সা) আন্দোলন প্রতিরোধে উতবার ফন্দি * কুরাইশ নেতাদের সাথে রাসূলুল্লাহর (সা) কথোপকথন * আবু জাহলের আচরণ * নাদার ইবনে হারেসের বিবরণ * দুর্বল মুসলমানদের ওপর মুশরিকদের অত্যাচার * আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের প্রথম হিজরাত * মুহাজিরদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবিসিনিয়ায় কুরাইশদের দূত প্রেরণ * উমার ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ * চুক্তিনামার বিবরণ * রাসূলুল্লাহর (সা) ওপর কুরাইশদের নির্যাতন * আবিসিনিয়া থেকে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের খবর শুনে মহাজিরদের প্রত্যাবর্তন * চুক্তি বাতিল হওয়ার কাহিনী * ইরাশ গোত্রের এক ব্যক্তির আবু কাহলের নিকট উট বিক্রির ঘটনা * ইসরা বা রাত্রিকালীন সফর * মি’রাজের ঘটনা * আবু তালিব ও খাদীজার ইন্তিকাল * সাহায্য লাভের আশায় বনু সাকীফ গোত্রের শরণাপন্ন হওয়া * নাসীবীনের জ্বীনদের ঘটনা * ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে রাসূলুল্লাহ (সা) সব গোত্রের কাছে হাজির হলেন * মদীনায় ইসলাম বিস্তারের সূচনা * মদীনায় প্রথম বাইয়াত * আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াত * আকাবার শেষ বাইয়াত ও তার শর্তাবলী * সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশ লাভ * মুসলমানদের মদীনায় হিজরাত করার অনুমতি দান * মদীনায় হিজরাতকারী মুসলমানদের বিবরণ * রাসূলুল্লাহ (সা) হিজরাত * কুবায় উপস্থিতি * মদীনায় উপস্থিতি * মদীনাতে ভাষণ দান ও চুক্তি সম্পাদন * আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে ভ্রাতৃসম্পর্ক স্থাপন * আযানের সূচনা * কতিপয় সাহাবীর রোগাক্রান্ত হওয়ার বিবরণ * হিজরাতের তারিখ * প্রথম যুদ্ধাভিযান * উবাইদা ইবনে হারিসের নেতৃত্বে অভিযান * সমুদ্র উপকূলের দিকে হামযার নেতৃত্বে অভিযান * বুয়াত অভিযান * উশাইরা অভিযান * সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান * সাফওয়ান অভিযান : প্রথম বদর অভিযান * আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান * কিবলা পরিবর্তন * বদরের যুদ্ধ * বনু সুলাইম অভিযান * সাওয়ীক অভিযান * যূ-আমার অভিযান * বাহরানের ফুরু অভিযান * বনু কাইনুকার যুদ্ধ * যায়িদ ইবনে হারিসার কারাদা অভিযান * উহুদ যুদ্ধ * হিজরী তৃতীয় সন : রাজী সফর * বীরে মাউনার ঘটনা * বনী নাযীরের বহিষ্কার * যাতুর রিকা অভিযান * দ্বিতীয় বদর অভিযান * দুমাতুল জানদাল অভিযান * খন্দক যুদ্ধ * বনু কুরাইযা অভিযান * বনু লিহইয়ান অভিযান * যী কারাদ অভিযান * বনু মুসতালিক অভিযান * ৬ষ্ঠ হিজরী সনে বনু মুসতালিক অভিযানকালে অপবাদের ঘটনা * হুদাইবিয়ার ঘটনা * বাইয়াতুর রিদওয়ান * শান্তিচুক্তি বা হুদাইবিয়ার সন্ধি * খাইবার বিজয় * জাফর ইবনে আবু তালিবের আবিসিনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন * উমরাতুল কাযা * মূতার যুদ্ধ * মক্কা বিজয় * হুনাইনের যুদ্ধ * তারেফ যুদ্ধ * হাওয়াযিনের জমিজমা, যুদ্ধবন্দী * জি’রানা থেকে রাসূলুল্লাহর (সা) উমরা পালন * তাবুক যুদ্ধ * দুমার শাসনকর্তা উকায়দের এর নিকট রাসূলুল্লাহ (সা) কর্তৃক * খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে প্রেরণ * নবম হিজরী সনকে প্রতিনিধিদল আগমনের বছর হিসেবে আখ্যায়িতকরণ * সূরা আন নাছর এই বছরই নাযিল হয় * বনু তামীমের প্রতিনিধিদলের আগমন ও সূরা হুজুরাত নাযিল * বনু আমেরের প্রতিনিধি আমের ইবনে তুফাইল ও আরবাদ ইবনে কায়েসের ঘটনা * জারুদের নেতৃত্বে বনু আবদুল কায়েসের প্রতিনিধিদলের আগমন * মুসাইলিমা কাযযাবসহ বনু হানীফা প্রতিনিধিদলের আগমন * হাতিম তাঈ-এর পুত্র আদীর ঘটনা * ফারওয়া ইবনে মুসাইক মুরাদীর আগমন * আমর ইবনে মা’দী ইয়াকরাবের নেতৃত্বে বনু যুবাইদের প্রতিনিধিদলের আগমন * আশয়াস ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে কিন্দার প্রতিনিধিদলের আগমন * সুরাদ ইবনে আবদুল্লাহ আযদীর আহমন * হিমইয়ার বংশীয় রাজাদের দূতের আগমন * মুয়ায পরিচালনাকালে খালিদ ইবনে ওয়ালীদের (রা) হাতে * বনু হারিস গোত্রের ইসলাম গ্রহণ * মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার মুসাইলিমা ও আসওয়াদ আনসীর বিবরণ * রাসূলুল্লাহ (সা) নিযুক্ত কর্মচারী ও আমীরগণের যাকাত আদায়ের অভিযান * রাসূলুল্লাহ (সা) নিকট মুসাইলিমার চিঠি এবং রাসূলুল্লাহর পক্ষ থেকে তার জবাব * বিদায় হজ্জ * উসামা ইবনে যায়িদকে ফিলিস্তীনে প্রেরণ * রাজা বাদশাহদের কাছে রাসূলুল্লাহ (সা) দূত প্রেরণ * সর্বশেষ অভিযান * রাসূলুল্লাহ (সা) পীড়ার সূচনা * রাসূলুল্লাহ (সা) স্ত্রীগণ বা উম্মুহাতুল মু’মিনীনের বিবরণ * রাসূলুল্লাহ (সা) রোগ সংক্রান্ত অবশিষ্ট বিবরণ * নামাযের জামায়াতে আবু বাকরের (রা) ইমামতি * বনু সায়েদা গোত্রের চত্বরে * আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও উমার (রা)-এর বর্ণনা * রাসূলুল্লাহ (সা) কাফন-দাফন অনলাইনে পড়তেঃ ক্লিক করুন পিডিএফ ডাওনলোড করতেঃ ক্লিক করুন হার্ডকপি প্রাপ্তিস্থানঃ কাঁটাবন । ইসলামিক সেন্টারের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র । মগবাজার । বাংলাবাজার । এবং অন্যান্য ইসলামিক লাইব্রেরীতে । অনলাইনে হার্ড কপি কিনতেঃ amaderboi.com ফোনেঃ 01954 014 720 , rokomari.com পরের পর্বে ইনশা আল্লাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরটি নিয়ে আলোচনা করা হবে । এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সীরাত বিষয়ক বইকে নিয়ে লেখা হবে ।

more information:
www.projonmonewsbd.com/bangla
www.bangladnews24.com
www.radhunibd.com
www.alfurqanshop.com

Tuesday, December 1, 2015

ব্যাবসা নিয়ে ভাবনাঃ৩ (নুফা এড কি সত্যিই পেমেন্ট করে ?)

MLM ব্যবসা দিয়ে একটা সময় মানুষকে পথের ফকির বানিয়ে দিয়েছিলো কিছু কোম্পানী । হুট করে কোন এলাকায় আস্তানা গেড়ে সুন্দর অফিস নিয়ে টাকা কামাইয়ে রাতের মধ্যেই চম্পট । অনলাইনেও পিটিসি নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে । কিছুদিন আগে আমাদের এড ডট কম কেমন করে আসলো আর কেমন করে চলে গেলো কিছুই বুঝতে পারি নি । তবে কিছু টাকা পাইতাম :) তোলার আগেই দেখি হাওয়া । হাতে অনেক গুলো সাইট । ভাবলাম ছোট খাটো কিছু এড দিলে হালকা কিছু পেলে মন্দ হবে না । অন্তত ফুচকা খাওয়ার বিলটা উঠবে :D । যে ভাবা সেই কাজ । গুগল এডসেন্স নিয়ে ভেজালে না নেমে খুজতে শুরু করলাম দেশি কোম্পানী । পেয়েও গেলাম । নুফা এড । প্রথম নজরেই অথেনটিক মনে হলো । কারন তাদের পাবলিশার জনকন্ঠের মতো জাতীয় পত্রিকা । আরো একটু খোজাখুজি করলাম । দেখলাম ব্লগার মারুফের রিভিউ । মোটামুটি অথেনটিক মনে করে একাউন্ট খুললাম । একটা এপ্রুভ করলাম । আর সময় হলো না কাজ কর্ম করার । কোডটা বসিয়ে দিলা। কিন্তু আবার সরাতে বাধ্য হলাম । কারন বেশির ভাগ সময়ই এড নাই :( আবার কিছু ডিজাইন করছিলাম তাই এদিকে নজর ছিলো না । আরেক দিন ফ্রি সময়ে গেলাম সাইটে । কেনো যেনো খটকা লাগলো । Advertiser এর কোন পরিবর্তন নাই । সর্বশেষ আজও দেখি জবএইড বিডি, famysanit আর ভিডিও ৪ ইউ নামক একটা ইউটিউব চ্যানেল । মোট তিনটা ।



 সময় ছিল তাই নেমে পড়লাম গবেষনায় :) আমার দৃষ্টিতে যা যা আটকে গেলোঃ ১ নুফা এডে পাবলিশারের হোমে একটা নাম আছে বিশ্বজিত । ইমেইল । bishojit@gmail.com ।নুফা এড , জবএইড বিডি,famysanit তিনটা ডোমেইনের মালিক এডমিন তিনি :)

 




 সিদ্ধান্তঃ ১

আচ্ছা ধরে নিলাম Kumar Bisshojit Paul সকল সাইট গুলো ডেভলপিং করেছে কিংবা তিনিই সব ডোমেইন কিনেছেন তাহলে এটা স্বীকার করতে হবে তিনটি প্রতিষ্ঠানই একই মালিক কিংবা নিকটজনের । আমার দৃষ্টিতে যা যা আটকে গেলোঃ ২ ভিডিও ফর ইউ নামক একটি Advertiser এর নাম লিখা আছে নুফা এডের সাইটে । click this link



সাবস্ক্রাইবার মাত্র ৪৪ টি :) ভিউ হয়েছে 41,783 তাও আবার হিজড়াদের নিয়ে একটি ভিডিওতেই ভিউ ৩৬,৬৪৪ । এই চ্যানেল এর গুগল + পেজে মোট দুইটা ফলোয়ার । যার দুইটাই খুলনা এলাকার । স্ক্রীনশর্ট দেখুন

 
 সিদ্ধান্তঃ ২ এটির অন্যান্য ভিডিওতে প্রমান হয় এটি জবএইড বিডির সঙ্গে সংযুক্ত । আর জব এইড বিডি ডোমেইনের মালিক ও নুফা এডের ডোমেইনের মালিক একই । অর্থাৎ Advertiser এর সংখ্যা তিনটি এবং প্রত্যেকটিই নুফা এড এর সাথে সম্পর্কযুক্ত । আমার দৃষ্টিতে যা যা আটকে গেলোঃ ৩ পাবলিশারের লিস্টঃ



জনকন্ঠের ডিজাইন করেছে যারাঃ

 

সিদ্ধান্তঃ ৩ দেখা গেলো জনকন্ঠ অনলাইন ভার্সন ডিজাইন করেছে বিকিরন নামক একটি প্রতিষ্ঠান । প্রথম স্ক্রীন শর্টটি দেখুন । ডোমেইনের মালিকের কোম্পানী বিকিরন । অর্থাৎ জানা গেলো বিকিরন হলো নুফা এডের মালিকানাধীন কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান । আবার আইটি পার্টনার হিসাবে famysanit এর নাম । মানে দুয়ে দুয়ে চার । মূলটা একই হয়ে গেলো । [নুফা এড জনকন্ঠকে পাবলিশার হিসাবে দেখালেও জনকন্ঠে নুফার কোন এড নেই । বিকিরনের দুইটা । আর গুগল এডসেন্সের কয়েকটা আছে । ] [ব্লগার মারূফের একটা পোস্ট দেখেছিলাম নুফার গুনগান গাইতে । তখন সাইটে এডও ছিল । এখন তার সাইটে নুফার কোন এড নেই । কিন্তু নুফা এডের সাইটে মারুফের সাইট পাবলিশার হিসাবে দেখাচ্ছে :( ] আমার দৃষ্টিতে যা যা আটকে গেলোঃ ৪ জনকন্ঠের পরেই একটি পত্রিকার কথা বলা আছে জেনিউজবিডি ডট কম ।

 

[Developed By বিকিরন] [এখানেও নুফার এড নেই] জেনিউজ এর সম্পাদক আর famysanit এর MD একই ব্যাক্তি ।

 
 সিদ্ধান্তঃ৪ জেনিউজের সম্পাদকের নিজের ডেভলপিং প্রতিষ্ঠান থাকতেও তিনি বিকিরনে ডেভলপ করালেন ? ডোমেইনের মালিক খুজতে যাই নি :p । মানে দুয়ে দুয়ে চারই হয় ।মানে এটিও নুফা এড সংশ্লিষ্ট । আচ্ছা আর কিছু দেখা যাকঃ
 
প্রিয় পাবলিশারবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। আমরা নতুন করে শুরু করার প্রায়াসে আজ(৩১ আগষ্ট)বকেয়া বিলের অর্ধেক ব্যাংকে জমা দিয়েছি বিইএফটি এন ফরম্যাটে, কাল পরশুর মধ্যে আপনাদের স্ব স্ব একাউন্টে পেয়ে যাবেন। যদিও পুরোটা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমরা পেরে উঠিনি। এজন্য দু:খিত। বকেয়া বিল শীঘ্রই দেওয়া হবে। বিকাশের পেমেন্ট ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে সবার কাছে পৌছে যাবে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন আরো বৃহৎপরিসরে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নুফা এ্যাড ডট কম কে। আগামী অক্টোবর থেকে নতুন রঙে, নতুন ঢঙে পথ চলার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আমাদের আইটি ও মার্কেটিং টিম। পরিবর্তন আসছে অফিসিয়াল কাঠামোয়, ঠিকানায়, মালিকানায় সহ সবক্ষেত্রে.... আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি :: ১. অক্টোবরে যেয়ে জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বরের বিল জেনারেট করা হবে। ২. যদি কোন পাবলিশার অনিশ্চয়তায় ভোগেন তাহলে এ্যাড ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন। যাদের বিল বকেয়া আছে বা অন্য কোন সমস্যা জানাতে মেইল করুন: nufaad .com@gmail.com আগামীর পথ চলায় আপনাদের সহযোগীতা, সহমর্মিতা কাম্য। ধন্যবাদান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুফা এ্যাড ডট কম।
[এই নোটিশটি এখনও ড্যাশবোর্ডে আছে :D ] গাতি জানতে চায় এতো দিনের বকেয়া কেনো পড়ে ? তারা কি পাবলিশারদের বাকীতে এড দিতে দেন

?
আচ্ছা একটা উলটাপালটা হিসেব করি :3 । নুফা এডের এলাক্সা র‍্যাংক Rank in Bangladesh 1,273 । মানে খুব খারাপ না । ভিজিটর আছে মোটামুটি । আচ্ছা এবার দেখি তাদের পাবলিশারের সংখ্যা ১০১৮+ [তাদের মতে] ।
 
এডভার্টাইজারের কাছ থেকে তারা নেয় CPM= 40Tk CPC= 12tk আর দেয় .৪০ পয়সা PC 1018 টি অয়েবসাইটে মাত্র ১০০ টা করে ক্লিক পড়লে মোট ক্লিক পড়তেছে ১০১৮০০*.৪০= ৪০৭২০ টাকা প্রত্যেকদিন পাবলিশারকে দিতে হবে যদি ১০০ টা করে ক্লিক পরে গড়ে । আর CPC তে তাদের ইনকাম ১০১৮০০*১২=১২,২১৬০০

 এহেম এহেম । মানে Advertiser প্রতিষ্ঠান গুলো আলাদা মালিকের হলেও এতো টাকা দিয়ে কেউ এড দিবে ? এবং অয়েবসাইট জন্মের পর থেকে চালানোর পয়সা হবে ? আর পাবলিশারের টাকাটাও যদি সঠিকভাবে দেয় তাইলে ৪০ হাজার টাকা প্রত্যহ দিয়া দুইটা অয়েবসাইট আর একটা ইউটিউব একাউন্টে কেডা এড দিবে :3 ?

 তাদের নোটিশে "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি :: ১. অক্টোবরে যেয়ে জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বরের বিল জেনারেট করা হবে।" চিন্তা করুন কতো টাকার মামলা ঝুলে আছে !!!!
"আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি নুফা এডের সাথে সংযুক্ত সকলের কাছে । প্রসঙ্গে যুক্ত হওয়া ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে হেয় করা আমার মোটেও ইচ্ছে নেই । আমার উদ্দেশ্য আসলেই কি এভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে Advertiser বানিয়ে ১০১৮ টি অয়েবসাইটের বিল পেমেন্ট করা কিভাবে সম্ভব এটার বিশ্লেষন করা ।"

আরো কিছু লেখাঃ
ব্যবসা নিয়ে ভাবনাঃ ১ (১৫ টাকার ঔষুধে লাভ ৬৮০০ টাকা)
ব্যবসা নিয়ে ভাবনাঃ ২ (বইয়ের ব্যবসা ও ভাবনা)
ওয়েব পেজ ডিজাইন (HTML) 
নিজে নিজে এনড্রয়েড শিখি-www.AmaderBoi.com
ইন্টারনেটে আত্মকর্মসংস্থান
ইন্টারনেটে ঘরে বসেই আয়

Tuesday, November 24, 2015

আবুল হাসান আলী নাদভী রহ. এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আবুল হাসান আলী আল হাসানী আন নাদভী (উর্দু: سیّد ابوالحسن علی حسنی ندوی) (ডিসেম্বর ৫, ১৯১৩ - ডিসেম্বর ৩১, ১৯৯৯ )তিনি বিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ, ঐতিহাসিক, লেখক এবং পন্ডিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বিভিন্ন ভাষায় ৫০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি "আলী মিয়াঁ" নামেও পরিচিত। জন্ম ও শৈশবকাল তিনি ১৯১৩ খ্রীস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর ভারতের রায়বেরেলি নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল হাই এবং মাতার নাম খায়রুন্নেসা। তারঁ পিতা-মাতা উভয়েই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি হাসান রাযিআল্লাহু আনহুর বংশধর ছিলেন। ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে মাত্র ১০ বছরেরও কম বয়সে তিনি পিতৃহারা হন। এমতাবস্থায় বড় ভাই মাওলানা আব্দুল আলী আল হাসানী এবং মা খাইরুন নিসা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শৈশবে মায়ের কাছেই আলী মিয়াঁ কোরআন, আরবি ও উর্দূ ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। আলী মিয়াঁ ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দে শায়খ খলীল বিন মুহাম্মদ আল আনসারীর কাছে আরবি ভাষা শেখা শুরু করেন এবং এই ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তাঁর দুই চাচা শায়খ আযীযুর রহমান এবং শায়খ মুহাম্মদ তালহার কাছেও আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়েন।পরবর্তীতে ১৯৩০ সালে নদওয়াতুল উলামাতে ড: তাকীউদ্দীন হেলালীর কাছে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা সমাপন করেন। ১৯২৬ সনে তিনি কানপুরের নদওয়াতুল উলামাতে ভর্তি হন। এ সময়ে আরবি ভাষায় পারদর্শীতার কারণে তিনি সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এবং আরবদেশ থেকে আগত মেহমানদের সাথে দোভাষী হিসেবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন। ১৯২৭ সালে তিনি লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে উর্দূ ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।১৯২৮সাল থেকে ১৯৩০সাল পর্যন্ত তিনি ইংরেজি ভাষা অধ্যয়ন করেন। যা ইসলাম সম্পর্কে লিখিত ইংরেজি বই থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহে তাঁর সহায়ক হয়।১৯২৯সালে তিনি আবার নদওয়াতুল উলামায় ভির্তি হন এবং তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লামা মুহাদ্দিস হায়দার হোসেন খানের দরসে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর কাছেই সাহীহায়ন,সুনানে আবু দাউদ এবং তিরমীজী শরীফ সমাপ্ত করেন। তার কাছে আলী মিয়াঁ তাফসীরে বায়জাভীরও কিছু অংশ পড়েন। আলী মিয়াঁ তার শিক্ষক খলীল বিন মুহাম্মদের কাছেই নির্বাচিত কিছু সূরার তাফসীর পড়েন। এছাড়া আব্দুল হাই আল ফারুকীর কাছেও তিনি কোরআনের কিছু অংশের তাফসীর পড়েন। তবে মাদ্রাসার সুনির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী অনুযায়ী তিনি সম্পূর্ণ কোরআনের তাফসীর অধ্যয়ন করেন ১৯৩২সালে লাহোরে আল্লামা মুফাসসির আহমাদ আলী লাহোরীর কাছে। এ বছরই তিনি দেওবন্দে শায়খুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমাদ মাদানীর কাছে কয়েক মাস থাকেন এবং তার সহীহ বুখারী ও সুনানে তিরমীজীর দরসে উপস্থিত থাকেন। আলী মিয়াঁ তার কাছে উলুমুল কোরআন এবং তাফসীরও পড়েন। এছাড়া আলী মিয়াঁ শায়খ ইজাজ আলীর কাছে ফিকহ এবং ক্বারী আসগর আলীর কাছে তাজবীদ শেখেন। সংক্ষিপ্ত জীবনী ১৯৩৪সালে তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং তাফসীর,হাদীস,যুক্তিবিদ্যা,আরবি সাহিত্য ও ইতিহাসের শিক্ষা দেন। ১৯৩৪সালে তিনি বিয়ে করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন। এইসফরের মাঝেই তিনি মাওলানা শায়খ আবদুল কাদির রায়পুরী এবং বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক মাওলানা মুহাম্মাদ ইলয়াস কান্ধলভীর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদেরকে নিজের কর্মজীবনের পরামর্শদাতারূপে গ্রহণ করেন। প্রথমোক্ত ব্যক্তির কাছে তিনি তাযকিয়াহ তথা আত্মশুদ্ধি বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণ করতেন এবং দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে তিনি ধর্মপ্রচার ও সমাজ-সংস্কার বিষয়ক পরামর্শ গ্রহণ করতেন। সারা জীবন তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। শেষ জীবন পর্যন্ত তিনি ভারত ও পৃথিবীর অনেক দেশে সফর করেন। ১৯৪৩ সালে দীনী শিক্ষার জন্য তিনি “আন্জুমানে তা’লীমাতে দীন” নামক একটি এ্যসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি কোরআন ও হাদিসের ওপর বেশকিছু বক্তৃতা প্রদান করেন, যা আধুনিক শিক্ষিত সমাজে সাড়া ফেলে। ১৯৪৫ সালে তিনি নদওয়াতুল উলামার প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালে নদওয়াতুল উলামার তৎকালীন শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভীর অনুরোধে তিনি শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালকের পদ গ্রহণ করেন এবং ১৯৫৪ সালে সুলাইমান নদভীর ইন্তেকালের পর তিনি শিক্ষা বিভাগের পরিচালক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে বড়ভাই আব্দুল আলী আল হাসানীর মৃত্যুর পর তিনি নদওয়াতুল উলামার মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালেই তিনি তাঁর বিখ্যাত আন্দোলন “পায়ামে ইনসানিয়্যাত” শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি আরবি পত্রিকা “আল-বাস” এবং ১৯৫৯ সালে “আর-রায়ীদ”এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে আলী মিয়াঁ দামেশকে ‘আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট’এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৯ সালে তিনি লখনৌতে “ইসলামিক গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬২ সালে মক্কায় সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীমের অনুপস্থিতিতে আলী মিয়াঁ “রাবেতাতুল ইসলাম”এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের শাসক সাউদ বিন আবদুল আজীজ,লিবিয়ার শাসক ইদরীস সেনুসীসহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিরেন। এই অনুষ্ঠানেই তিনি “ সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে ইসলাম” শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালে সৌদী শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ বিভাগের পাঠ্যসূচী প্রণয়নে পরামর্শ দেয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৮০ সালে জর্দান আরবি একাডেমির একজন সদস্য নির্বাচিত হন। এই বছরই তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি "বিশ্ব ইসলামী সাহিত্য সংগঠন"এর মহাপরিচালক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে এবং ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। পুরষ্কার ও সম্মাননা ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে আলী নদভী তাঁর রচিত গ্রন্থ মা যা খাসিরাল 'আলামু বিনহিতাতিল মুসলিমীন (মুসলামানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?)-এর জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেল হিসেবে খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেন। পুরস্কারের নগদ দুই লাখ রিয়ালের অর্ধেক তিনি আফগান শরণার্থীদের জন্য এবং বাকী অর্ধেক মক্কার দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (একটি হিফজখানা এবং মাদরাসা আল-সাওলতিয়াহ)দান করে দেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে সাহিত্যে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ৭ খণ্ডে রচিত উর্দু ইতিহাস গ্রন্থ তারীখে দাওয়াত ওয়া আযীমত (সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস)-এর জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক সেন্টারের পক্ষ থেকে আলী নদভীকে সুলতান ব্রুনাই এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। যার মূল্য ছিল বিশ লক্ষাধিক ভারতীয় রুপি। আলী নদভী পুরষ্কারের সমস্ত অর্থ বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করে দেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে আলী নদভী দুবাইয়ে তিনি বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হন। দুবাইয়ের যুবরাজ এবং আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ ইবনে রুশদের হাত থেকে গ্রহণ করা প্রায় এক কোটি পঁচিশ লক্ষ ভারতীয় রুপি সমমূল্যের এ পুরষ্কারের পুরোটা তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজে ব্যয় করেন। রচনাবলী ১৯৩১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সাইয়্যেদ রশিদ রেজা সম্পাদিত মিসরের আল মানার পত্রিকায় আলী মিয়াঁর সর্বপ্রথম প্রবন্ধ ছাপা হয়। প্রবন্ধের বিষয় ছিল শহীদ আহমাদ বিন ইরফানের কর্ম। ১৯৩৮ সালে উর্দূতে “সীরাতে আহমাদ শহীদ”নামে তাঁর সর্বপ্রথম বই প্রকাশিত হয়। ১৯৪০ সালে তিনি “মুখতারাত মিন আদাবিল আরব” কিতাবটি সংকলন করেন। ১৯৪২-১৯৪৪ সালের মাঝে “ক্বাসাসুন নাবিয়্যীন” এবং “আল ক্বিরাআতুর রাশিদাহ”নামে দু’টি শিশুতোষ সিরিজ লেখেন। ১৯৪৪ সালে তিনি তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো” লেখা শুরু করে ১৯৪৭ সালে শেষ করেন।১৯৫৮ সালে তিনি শায়খ আহমাদ রায়পুরীর অনুরোধে কাদীয়ানীদের সম্পর্কে “কাদীয়ানী ও কাদীয়ানিয়্যাত” নামে একটি বই লেখেন।১৯৬৭ সালে তিনি “আরকানে আরবাআ’হ” এবং ১৯৮৮ সালে আলী রাদিয়াল্লাহুর জীবনী “মুরতাজা” রচনা করেন।তার বেশির ভাগ বই বাংলায় অনূদিত হয়েছে । আবুল হাসান আলী নাদাবী রহঃ-এর বাংলায় অনূদিত রচনাবলী: ১.আল্লামা আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ: জীবন ও কর্ম। ২.আল্লামা আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ: স্বারক গ্রন্থ। ৩.মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো। ৪.তালিবে ইলমের জীবন পথের পাথেয়। ৫.সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস (৫ খন্ড।) ৬.খুতুবাতে আলী মিয়া নাদাবী রহ: (৫ খন্ড)। ৭.ঈমান যখন জাগলো । ৮.ঈমানদীপ্ত কিশোর কাহিনী। ৯.সীরাতে রাসূলে আকরাম (সা:)। ১০.নবীয়ে রহমত। ১১.শাইখুল হাদীস যাকারিয়া রহ:। ১২.ইসলামী জীবন বিধান। ১৩.ইসলাম ধর্ম, সমাজ- সাংস্কৃতি। ১৪.নতুন পৃথিবীর জন্ম দিবস। ১৫.নয়া খুন। ১৬.ছোটদের আলী মিয়া। ১৭.কারওয়ানে মদীনা। ১৮.মদীনার পথে। ১৯.উলামা-তালাবা। ২০.দাওয়াত ও তাবলীগ। ২১.কুরআন অধ্যয়নের মূলনীতি। ২২.ইসলাম ও অন্যান্ন সাংস্কৃতি। ২৩.ইসলামের বৈপ্লবিক অবদান। ২৪.কে তুমি নারী কি তোমার পরিচয়? ২৫.কাবুল থেকে ইয়ারমুক। ২৬.দীপ্তিময় কুরআন। ২৭.ঈমানের দাবী। ২৮. কাদিয়ানী মতবাদ ইসলাম ও নবীজীর বিপক্ষে বিদ্রোহ ২৯. আলোকিত জীবনের পথ ৩০. পশ্চিমা বিশ্বের নামে খোলা চিঠি ৩১. হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীকে কী দিয়েছেন মৃত্যু আলী মিয়াঁ ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, আরবি ১৪২০ হিজরীর রমজান মাসের ২২ তারিখ, শুক্রবার জুমআর পূর্বে সূরা ইয়সীনের ১১ নং আয়াত তিলাওয়াত করা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁকে রায়বেরেলিতেই দাফন করা হয়।

Monday, November 23, 2015

ব্যবসা নিয়ে ভাবনাঃ ১ (১৫ টাকার ঔষুধে লাভ ৬৮০০ টাকা)

১ কিলো গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দাম ১৮ টাকা । ১০০০ গ্রামের দাম মাত্র ১৮ টাকা । (১ মিলিগ্রাম (mg) = ১/১,০০০,০০০ কিলোগ্রাম = ১/১,০০০ গ্রাম) ৫০ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বিক্রি করা হয় ৫০০ টাকায় । ১০০০ গ্রাম ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা মাত্র) । আগেই একটা মাথামোটা হিসেব দিয়ে দিলাম । অনেকে রেগে যাবেন , অনেকে কৌতুহলী হবেন , অনেকে পাগলের প্রলাপ বলে চলে যাবেন :) । আপনাদের মধ্যে ২য় শ্রেনীটাই আমার দরকার । একটি ওষুধের দোকানে যান । গিয়ে বলুন ক্যালবো ৫০০ (calbo 500mg),এ-ক্যাল (A-cal 500) , অস্টোক্যাল (ostocal 500) আর যেই কোম্পানিরই হোক দিতে বলুন । প্যাকেটে যা যা লেখা আছে ভালো করে দেখুন । এর পর আমার হিসেবটা মিলিয়ে দেখুন । উপরে উল্লেখিত ঔষুধের কোম্পানীগুলো ১২.৫% লাভ দেয় কেমিস্ট/ঔষুধ ব্যবসায়ীকে (কাগজ কলমের হিসাবে) । অর্থাৎ ১০০ টাকায় ১২.৫০ আর এক হাজার টাকায় ১২৫ টাকা । দশ হাজার টাকায় ১২৫০ টাকা । এবার প্রথম বাক্যটি পড়ুন । এক কিলোগ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ১৮ টাকা । ইহা খোলাবাজারের হিসাব । উনারা খোলা কিনেন না উনারা টন টন কিনেন । তাইলে উনাদের পড়ে ১২-১৫ টাকা সর্বোচ্চ । কারন যে ১৮ টাকা বেচে সে লাভ করেই দেয় । ধরুন একটি ঔষুধ কোম্পানী ১৫ টাকা খরচ করিয়া ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা) বিক্রি করিলো । আবার বলছি শুনুন , একটি ঔষুধ কোম্পানী ১৫ টাকা খরচ করিয়া ১০,০০০ (দশ হাজার টাকা) বিক্রি করিলো । ভাই উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই ভাববেন না তারা ৯৮৮৫ টাকা লাভ করলো ! এখানে খরচ আছে । আচ্ছা আমরা গড়ে ধরে নিচ্ছি একশটা ট্যাবলেট ব্লিস্টার আকারে আনতে তাদের খরচ হলো ২০০ টাকা । একটু বাড়ায়েই ধরি :) প্যাকেট ০১ টাকা আর ব্লিস্টারের (ধুত্তরি নামটা ভুলে গেছি) হিজিবিজিতে ১০ পাতায় ১০ টাকা । ১১+১৫=২৬ টাকার স্থলে আমরা ধরলাম তাহারা ২০০ টাকা খরচ করিল । এবং বিক্রয় করিল ১০০০০ টাকা । মাত্র ৯৮০০ টাকা লাভ করিল । না ভাই ৯৮০০ থেকে ১২৫০ টাকা দোকানীকে দিলে থাকে ৮৬৫০ টাকা । অনেকের মাথায় ঢোকে নাই । আমি এর চেয়ে ক্লিয়ার করে বলতে পারি না বলে দুঃখিত । আচ্ছা সেম জিনিসটা যদি পটে দেওয়া হয় ? দেখেন না ঔষুধের দোকানে রঙ বেরঙ্গের পট ঝুলিয়ে রাখে ? অরকম আর কি :D তাহলে ১৫+৪=১৯ টাকা :D থাক এটা নিয়ে আর কথা বলে বিরক্ত করবো না । এবার আসুন তারপরের খরচ গুলো । এই পন্যটি আসার পরে তাদের যা যা লাগবে (প্যাড,কলম,লেটারেচার,স্টীকার হেন তেন ) যাই হোক ধরে রাখেন এক প্যাকেটের জন্য এসবে তাদের খরচ গেল গড়ে দশ টাকা । আর ডাক্তারকে সম্মানী (কানে কানে বলি ইহা চুক্তি করিয়া প্রদান করা হয়, সহজ ভাষায় ঘুষ) দেওয়া হলো গড় প্যাকেটে ১০ টাকা (একটা ডাক্তারকে ৫ হাজার টাকা দিলে ওই ডাক্তার ৫০ হাজার প্যাকেট চালাইয়া দিবে :D ) । অর্থাৎ ওদিকে ২০০ আর এদিকে ২০ টাকার এর স্থলে ১০০ ধরলাম । আর কর্মচারী গোডাউন সব মিলিয়া প্রত্যেক বক্সের উপরে ১০০ টাকা ধরলাম । আরেকটা হিসেব ভুল হয়ে গেছে সরকারকে ভ্যাট দিতে হয় ১৬.৫ পার্সেন্ট । অর্থাৎ ২৯% বাদ দেওয়া হোক । ১০০০০-২৯%= ৭১০০ আর এদিকে ৩০০ । ৭১০০-৩০০= ৬৮০০ টাকা সমুদয় খরচ বাদ দিয়া তারা লাভ করে । আচ্ছা আরো বাদ দিলাম কোম্পানীর মালিকের কাজের বুয়ার বেতন বাবদ প্রতেক প্যাকে ৫০০ টাকা বাদ দেওয়া হলো । তাহলে বাকী থাকতেছে ৬৩০০ টাকা । আরো কিছু বাদ দিতে বলবেন ? দিয়ে দিলাম । কোম্পানীর মালিকের স্ত্রী প্রত্যেক বক্সের উপরে ১৩০০ টাকা নিলো গহনা কিনার জন্য :D । আচ্ছা তাহলে ৫০০০ টাকা :D । ১৫ টাকা খরচ করে মাত্র ৫০০০ টাকা :D আগেই বলেছি অনেকে রেগে যাবেন , অনেকে কৌতুহলী হবেন , অনেকে পাগলের প্রলাপ বলে চলে যাবেন :) । আপনাদের মধ্যে ২য় শ্রেনীটাই আমার দরকার । হিসেবটা মাথা মোটা হলেও সহজ করেই বলেছি ঢোকার কথা । আচ্ছা এবার আর কিছু তথ্য দেই । একটি কোম্পানী ১০০ টি সেই ট্যাবলেট বিক্রি করে ৩০ টাকায় :D মাত্র ৩০ টাকায় । আরেকটু উন্নত কোয়ালিটির ৩০ টার দাম ১৫ টাকা । হয়তো এদের স্কয়ার বেক্সিমকোর মতো উন্নতমানের ফ্যাক্টারী নাই কিন্তু যা আছে তা মানসম্মত বলেই সরকার লাইসেন্স দিয়েছে । এরা ৩০ টাকা বেচেও লাভ করে ।১৫ টাকা কিনা আর প্যাকেটে পাচ টাকা । দোকানে পৌছাতে ৫ টাকা । আর লাভ করে পাচ টাকা । এদেরও দিন চলে । আম পাবলিক এদের ঔষুধ খুজেই খায় । ডাক্তারকে ঘুষ দিতে হয় না । মূলা ঝুলিয়ে কাস্টমার খুজতে হয় না :D একটি ওষুধের দোকানীও পর্যাপ্ত পরিমান লাভ করতে পারে । কাস্টমার ও কম দামে পায় । আজ এপর্যন্তই । আরেকদিন আসবো ঔষুধের দোকানীর লাভের ব্যবচ্ছেদ করতে । আর ঔষধ নিয়ে আর কিছু লেখা থাকবে ইনশা আল্লাহ । প্রথম প্রকাশঃ amaderboi.com/blog

Wednesday, November 4, 2015

Windows 7 Activator Download Free

Windows 7 বর্তমান সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। Microsoft corporation থেকে release হওয়া অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে windows XP এর পরে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো windows 7। আপনাদের জন্য আজ নিয়ে এলাম windows 7 activator । ফ্রী ডাওনলোড করুন >> Windows 7 Activator Download Free টিউটেরিয়াল বিষয়ক বই কিনতে click here